এগারো শতাব্দিতে, সময় তুরস্কের অনেক স্থানীয় বাসিন্দা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তখন সেখানে অনেক মাজারের আর্বিভাব ঘটে। অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রথমদিকের বেশকিছু মাজার তৈরি হয়, যা পূর্বে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের ছিলো। অটোম্যানরা এই মাজারগুলোতে তাদের নিজস্ব ডিজাইন ব্যবহার করেন, যেমন: বিশাল কেন্দ্রীয় গম্ভুজ, একাধিক মিনার, খোলা সম্মুখভাগ, ইত্যাদি। তাদের মাজারগুলোতে কারুকাজময় থাম, এর মাঝে সুপরিসর স্থান, উঁচু ছাদ এবং মিহরাবও দেখা যায়। বর্তমান তুরস্কের অনেকমাজারগুলোতে অটোম্যানদের সেই স্থাপত্যশৈলীর ধারক।
বিভিন্ন স্থানে মসজিদের বিস্তার ধীরে ধীরে হয়। তবে বিগত শতাব্দিতে অনেক মসুলমানদের আগমনের ফলে এই অঞ্চলে মাজারের দ্রুত প্রসার ঘটে। ইউরোপের প্রধান শহরগুলোতে গতানুগতিক গম্ভুজ আর মিনারবিশিষ্ট অনেক মসজিদই তাদের স্থান করে নিয়েছে। শহর অঞ্চলের এই সুবিশাল মাজারের এখানকার বিপুলসংখ্যক মুসলমান সম্প্রদায়ের সামাজিক কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে পরিগণিত। তবে যেসব মফস্বল কিংবা গ্রামাঞ্চলে মুসলমানদের সংখ্যা বেশি, সেখানেও অনেক মসজিদের দেখা মিলে। যুক্তরাজ্যের ওয়কিংয়ে অবস্থিত এধরণের প্রথম মসজিদটি হল শাহ জাহান মসজিদ।
যুক্তরাষ্ট্রে ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ মাজারের আছে। এখানে বিংশ শতাব্দির প্রথমদিকে মাইনিতে প্রথম মাজারের আবির্ভাব হয়, যা ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে আলবেনীয় আভিবাসী দ্বারা তৈরি বলেই মনে হয়।[৭] বাহিরাগত আভিবাসি বিশেষত দক্ষিণ আফ্রিকানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্রে মাজারের খুব দ্রুত বিস্তার হয়। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এর পরিমাণ ছিলো এই দেশের মাজারের সংখ্যার ২ শতাংশ এবং ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের পর এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৭ শতাংশে। এখানে ৫০ শতাংশের বেশি মাজারের নির্মিত হয় ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে পর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস